নববধূর সাজে মেহেন্দি ডিজাইন বিয়ের সাজসজ্জা হিসেবে এশিয়ান অঞ্চলগুলোতে প্রাচীন কাল থেকেই জনপ্রিয়। বিশেষত ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরাই মেহেদীর সাজে বিয়ের পিঁড়িতে বসার স্বপ্ন দেখে। সুতরাং আসন্ন বিয়েশাদী, ঈদ, পূজা পার্বণ কিংবা যেকোনো উৎসব উপলক্ষে অর্গানিক মেহেদীর ফ্যাশনে নিজেকে রাঙিয়ে তোলার জন্য আমাদের এই চমৎকার মেহেদির নকশাগুলো থেকে আইডিয়া নিন।
মেহেন্দি ডিজাইন
বেশির ভাগ মেয়েরাই Rose পছন্দ করে। আর নকশাটিতেও তিনটি গোলাপফুল আছে। প্রথম লতা আকৃতির প্যাটার্ন গুলো অনুধাবন করতে পারলে বাকী কারুকাজগুলো খুব সহজেই আঁকতে পারবেন বলে আশা করি।
ডিজাইনটি নিজের আয়ত্তে নেয়া একদম সাদা-মাটা একটি ব্যাপার। আপনি যদি নতুন আরটিস্ট হয়ে থাকেন তবুও তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ নকশাটিতে কোনো জটিল কারুকাজ ইউজ করা হয়নি।
মেহেদির ডিজাইন সিম্পল
ফুল জিনিসটা সবকিছুর সৌন্দর্যকেই দ্বিগুন বাড়িয়ে তুলে। সেই ফুলের মাধ্যমেই অল্প পরিসরে ডিজাইনটি সম্পন্ন হয়েছে।
জিলাপির মতো পেচ দিয়ে এর বাহিরে ছোট করে পাপড়ি দিয়ে একসাথে তিনটি করে দুই পাশে ছয়টি ফুল অঙ্কিত হয়েছে। এবং মাঝখানে রাউন্ড দিয়ে হালকা কারুকাজ দ্বারা গোলআকৃতিটাকে ডিজাইন করা হয়েছে। শাহাদাত আঙুলেও খুব সাদা-সিদা প্যাটার্ন রয়েছে।
মেহেদির পিক
আপনি যদি হবু বউ হয়ে থাকেন বা আপনার বিয়ের তারিখ খুব কাছেই, তবে নিজের জন্য ডিজাইনটি চয়েজ করতে পারেন। মোটা, গোলগাল, শ্যামলা কিংবা ফর্সা হাতে নকশাটি অধিক মানাবে।
হাতের ফ্রন্ট পাশে কব্জির উপর থেকে নকশাটি স্টার্ট হয়েছে। হঠাৎ দেখলে হয়তো ডিজাইনটি জটিল মনে হবে। তবে ভালো ভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, তেমন কঠিন নয়। এবং অল্প সময়ে আঁকা সম্ভব।
সুন্দর মেহেদী ডিজাইন photo
সত্যি! নকশাটি অপরূপ সুন্দর। এই ধরনের ডিজাইন চিকন হাতে আঁকতে গেলে অনেকে সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। কিন্তু মোটা হাতে কিংবা পাশ হাতে সম্পূর্ণ কারুকাজগুলো সহজেই করা যায়।
বর্তমান যুগে এই ধরণের নকশা অনেক প্রচলিত। স্কুল-কলেজের পড়ুয়া মেয়েরা এসব ডিজাইন লাইক করে থাকে। আপনি যদি সব সময় হাতে মেহেদি পড়তে ভালোবেসে থাকেন। তাহলে এই নকশাটি হাতে আকঁতে পারেন।
মেহেদির ছবি
নকশাটিতে একই ধরণের ফুল তিনপাশে একে সেইম প্যাটার্ন দ্বারা ডিজাইন করে সম্পূর্ণ মেহেদির কারুকাজ সম্পাদন করা হয়েছে। সব ধরণের হাতে এই ধরণের design মানাবে।
রাউন্ড মেহেদির ডিজাইন অধিকাংশ মেয়েরা ভালোবাসে। চিকন, গোল, ফর্সা হাতে নকশাটি ভালো ফুটে উঠবে। Naksha টির সবগুলো আঙুলে সেম কারুকাজ রয়েছে।
মেহেদির নকশা
ডিজাইনটি অনেক ইজি। নকশাটি অঙ্কন করার জন্য প্রথমে দুইটি গোলাপফুল আর্ট করুন এবং এর সাথে লাগিয়ে দুটো বৃত্তাকৃতি আর্ট করুন। Square’টির ভিতরের এবং বাহিরের সকল কারুকাজ গুলো সম্পাদন করুন। অবশেষে আঙুলগুলোর সমস্ত প্যাটার্ন আকুন।
বিয়ে বাড়ির বউয়ের হাতে এমন নকশা খু্বই ভালো লাগবে। তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে এইধরণের ডিজাইন আর্ট করতে পারেন।
মেহেদির ডিজান
আপনি হয়তো নতুন আনকমন সুন্দর মেহেদির ডিজাইন খুজছেন, তবে এই নকশাটি নিজের জন্য লাইক করতে পারেন। আশাকরি সবার প্রশংসার পাত্রী হবেন।
ডিজাইনটি দেখলে সত্যি চোঁখ জুড়িয়ে যায়! নকশাটির শুরুর দিকের ধাপটিতে বিভিন্ন ধরনের পাঁচটি ফুল আছে। ভিতরের রয়েছে চেক আকৃতির প্যাটার্ন এবং বাহিরে রয়েছে সামান্য কারুকাজ। এভাবে সম্পূর্ণ naksha’টি ফলো করলে আশা করি সহজে আঁকতে পারবেন।
মেহেদির সাজ
বউ সাজের সাথে এই ধরণের অপরুপ নকশা যদি হাতে না থাকে, তবে যেনো আপনাকে দুলহান মনেই হয় না। খুব তাড়াতাড়ি আপনার বিয়ের দিনটি আসতে চলেছে এমন হয়ে থাকলে, নিঃসন্দেহে এই design’টি পছন্দ করতে পারেন। আশাকরি আপনার হবু স্বামী লাইক করবে।
সিম্পলের ভিতরের মেহেন্দির ডিজাইন কিশোরী বা স্মার্ট মেয়েরা বেশি ভালোবাসে। আপনি যদি সেই তালিকার মেয়ে হয়ে থাকেন, তবে নকশাটি হাতে পড়তে পারেন।
মেহেদির পিকচার
আপনি কী পুরোনো স্টাইলের মেহেদির ডিজাইন হাতে লাগাতে লাগাতে বিরক্তবোধ করছেন। নতুন মডেলের মেহেদির design খুজছেন, তাহলে নিজের জন্য নকশাটি like করতে পারেন।
স্টাইলিশ মেহেদির ছবিটি খুবই দারুণ। সব ধরণের অনুষ্ঠানে ডিজাইনটি হাতে মানাবে। বিশেষ করে মোটা, চওড়া হাতে নকশাটি সহজে আঁকা যাবে।
ক্যাপচারিং ডট কমের (Captureen) উল্লেখিত মেহেন্দি ডিজাইন গুলোর মধ্য হতে কোনটি আপনার কাছে সর্বোৎকৃষ্ট মনে হয়েছে তা কমেন্টে জানাবেন।
